গ্যাস ক্রোমাটোগ্রাফি (GC) - Gas chromatography (GC)

 



সংজ্ঞা (Definition):

গ্যাস ক্রোমাটোগ্রাফি (GC) একটি বিশ্লেষণাত্মক পদ্ধতি যা গ্যাসীয় অবস্থায় থাকা নমুনার বিভিন্ন উপাদানকে পৃথক করতে এবং সনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। এটি গ্যাসীয় ফেজের মাধ্যমে যৌগগুলিকে স্থির ফেজের উপর দিয়ে আলাদা করে।

কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ (Why is it important):
গ্যাস ক্রোমাটোগ্রাফি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং দ্রুত পদ্ধতি, যা খুব ছোট মাত্রার উপাদান শনাক্ত করতে সক্ষম। এটি পরিবেশগত বিশ্লেষণ, খাদ্য নিরাপত্তা, ওষুধের গুণমান নিরীক্ষা, এবং শিল্প প্রক্রিয়াগুলিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। গ্যাসীয় বা বাষ্পীয় যৌগগুলির সঠিক বিশ্লেষণে এটি অপরিহার্য।

রসায়নে মেকানিজম (Mechanism in Chemistry):

  • বহনকারী গ্যাস (Carrier Gas): নমুনাকে একটি বহনকারী গ্যাস (সাধারণত হিলিয়াম বা নাইট্রোজেন) ব্যবহার করে গ্যাস ক্রোমাটোগ্রাফি কলামের মধ্যে প্রবাহিত করা হয়।
  • স্থির ফেজ (Stationary Phase): স্থির ফেজ হল একটি পদার্থ যা কলামের মধ্যে উপস্থিত থাকে এবং নমুনার উপাদানগুলির সাথে মিথস্ক্রিয়া করে।
  • পৃথককরণ (Separation): নমুনার বিভিন্ন উপাদান স্থির ফেজের সাথে আলাদা গতি এবং ক্রিয়ার কারণে পৃথক হয়ে যায়।
  • ডিটেকশন (Detection): যখন প্রতিটি উপাদান কলাম থেকে বের হয়, তখন একটি ডিটেক্টর তাদের সনাক্ত করে এবং সংকেত তৈরি করে, যা বিশ্লেষণ করা হয়।

পদ্ধতি (Procedure - Step by Step):

  1. নমুনা প্রস্তুতি:
    নমুনা গ্যাসীয় অবস্থায় বা বাষ্পীভবনের মাধ্যমে গ্যাসীয় অবস্থায় আনা হয়।

  2. নমুনা ইনজেকশন:
    প্রস্তুতকৃত নমুনা ইনজেকশন পোর্টের মাধ্যমে ক্রোমাটোগ্রাফি সিস্টেমে প্রবেশ করানো হয়।

  3. বহনকারী গ্যাসের প্রবাহ:
    নমুনাটি বহনকারী গ্যাসের মাধ্যমে ক্রোমাটোগ্রাফি কলামের মধ্যে প্রবাহিত হয়।

  4. স্থির ফেজে পৃথককরণ:
    কলামের স্থির ফেজে নমুনার বিভিন্ন উপাদান মিথস্ক্রিয়া করে এবং আলাদা হয়ে যায়।

  5. ডিটেকশন:
    প্রতিটি উপাদান কলাম থেকে বের হলে একটি ডিটেক্টর তাদের শনাক্ত করে এবং বৈদ্যুতিক সংকেত তৈরি করে।

  6. ডেটা বিশ্লেষণ:
    সংকেতগুলি ক্রোমাটোগ্রাফের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করা হয় এবং পৃথক যৌগগুলির উপস্থিতি এবং ঘনত্ব নির্ধারণ করা হয়।

এই পদ্ধতিটি ক্ষুদ্র আণবিক যৌগগুলির সনাক্তকরণ এবং বিশ্লেষণে দ্রুত, নির্ভুল এবং কার্যকর।

মন্তব্যসমূহ